Tofen Syrup (টোফেন সিরাপ) এর কাজ কি ?

টোফেন সিরাপ

টোফেন সিরাপ (Tofen Syrup)  হল একটি অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ এবং যার মূল উপাদান হলো Ketotifen। টোফেন সিরাপ এটি সাধারণত অ্যালার্জিজনিত সমস্যা ও শ্বাসযন্ত্রের কিছু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

টোফেন সিরাপ

টোফেন সিরাপের প্রধান কাজ:

  1. অ্যালার্জি প্রতিরোধ:

    • সর্দি-কাশি, হাঁপানি, হাঁচি, চোখ চুলকানো, পানি পড়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি লক্ষণ উপশমে ব্যবহৃত হয় টোফেন সিরাপ।

    • বিশেষ করে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা ধুলা/বৃক্ষজাত পরাগে সংবেদনশীলতা থাকলে এটি কার্যকর।

  2. অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ:

    • এটি একটি mast cell stabilizer, যার ফলে এটি শ্বাসনালিতে প্রদাহ এবং অতিসংবেদনশীলতা কমাতে সাহায্য করে।

    • অ্যাজমা বা ব্রঙ্কিয়াল হাইপাররেসপন্সিভনেস নিয়ন্ত্রণে এটি সহায়ক।

  3. চুলকানি ও ত্বকের অ্যালার্জি:

    • ত্বকের চুলকানি, একজিমা বা অন্যান্য অ্যালার্জিক স্কিন কন্ডিশনের জন্যও কখনো কখনো প্রেসক্রাইব করা হয়।

টোফেন সিরাপ মাত্রা ও সেবন সেবনবিধি

শিশুদের জন্য (সাধারণ নিয়ম):
  • বয়স 6 মাস – 3 বছর:
    দিনে ২ বার (সকালে ও রাতে)
    ডোজ: 0.05 mg/kg দুইবার (চিকিৎসক ওজন অনুযায়ী নির্ধারণ করেন)

  • বয়স 3 – 12 বছর:
    1 মি.লি. (বা চিকিৎসকের পরামর্শমতো) দিনে ২ বার
    খাবারের পর খাওয়ানো হয়।

টোফেন সিরাপ খাওয়ার সঠিক সময়:

  • সকালে নাশতার পরে

  • রাতে ঘুমানোর আগে

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:

  • টোফেন সিরাপ ঘুম ভাব আনতে পারে, তাই গাড়ি চালানো বা মেশিন চালনার সময় সতর্ক থাকুন।

  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া টোফেন সিরাপ এর ডোজ পরিবর্তন করবেন না।

  • টোফেন সিরাপ নিয়মিত খেতে ভুলে গেলে ডোজ ডাবল করবেন না—পরবর্তী নির্ধারিত সময়মতো খান।

ফার্মাকোলজি

টোফেন সিরাপ (Tofen Syrup) এর প্রধান সক্রিয় উপাদান হল Ketotifen fumarate (কেটোটিফেন ফুমারেট) এর সম্পর্কে জানা জরুরি এবং এটি একটি non-competitive H1-antihistamine ও mast cell stabilizer। নিচে এর ফার্মাকোলজির বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা দেওয়া হলো:

Pharmacology of Ketotifen (Tofen Syrup):

Mechanism of Action (ক্রিয়া প্রক্রিয়া):

  • H1 receptor antagonist:

    • হিস্টামিন-১ রিসেপ্টরের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়। ফলে অ্যালার্জির লক্ষণ (হাঁচি, কাশি, চোখ চুলকানো, ইত্যাদি) কমে যায়।

  • Mast cell stabilizer:

    • মাস্ট সেল থেকে histamine, leukotrienes, এবং অন্যান্য inflammatory mediators নিঃসরণ প্রতিরোধ করে।

    • এটি ব্রঙ্কিয়াল হাইপাররেসপনসিভনেস (অ্যাজমায় সাধারণত দেখা যায়) প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Pharmacokinetics (শরীরে ওষুধের গতি):

ধাপ বিবরণ
Absorption মুখে খাওয়ার পর দ্রুত শোষিত হয়; বায়োঅ্যাভেইলেবিলিটি প্রায় 50%
Distribution Plasma protein-binding: ~75%
Metabolism লিভারে extensive first-pass metabolism হয়
Half-life প্রায় 21 ঘণ্টা (শিশুদের ক্ষেত্রে কিছুটা কম হতে পারে)
Excretion প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয় (মূল ওষুধ এবং মেটাবোলাইট উভয়ই)

Therapeutic Uses (চিকিৎসায় ব্যবহারের ক্ষেত্র):

  • ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা (প্রতিরোধমূলক, না যে অ্যাটাক হলে কাজ করে)

  • অ্যালার্জিক রাইনাইটিস

  • ক্রনিক ইউরটিকারিয়া (চুলকানি ও চামড়ায় ফুসকুড়ি)

  • কনজাংক্টিভাইটিস

  • ফুড অ্যালার্জি বা ডারমাটাইটিস

(Tofen Syrup) এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা
ঘুম ঘুম ভাব (Sedation) সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া; শিশু ও বড়দের ক্ষেত্রে ঘুমাতে ইচ্ছা করে
ক্ষুধা বৃদ্ধি ও ওজন বাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহারে ওজন বাড়তে পারে
মাথা ঘোরা বা ক্লান্তি কিছু ক্ষেত্রে হালকা মাথা ঘোরা বা অবসাদ দেখা দিতে পারে
মুখ শুকিয়ে যাওয়া (Dry mouth) তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেলেও হয়
অতিরিক্ত উত্তেজনা (Hyperexcitability) বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে, বিরলভাবে হতে পারে
চিন্তা বা মেজাজ পরিবর্তন বিরল, কিন্তু শিশুদের মধ্যে irritability দেখা যেতে পারে

Contraindications (যাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ):

  • কেটোটিফেন বা সিরাপের অন্য উপাদানের প্রতি অ্যালার্জি

  • যারা সেডেটিভ বা CNS depressants নিচ্ছেন (সতর্কতা প্রয়োজন)

 

টোফেন সিরাপ নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *